Khudi's philosophical foundation - Dr. Muhammad Iqbal

“ভূয়োদর্শনের মূল সীমাবদ্ধ কেন্দ্রে এবং তার একটা সীমাবদ্ধ প্রকট রূপ লাভ করা প্রয়োজন -এই মতবাদ শেষ পর্যন্ত অব্যাখ্যেয় ।” এ হচ্ছে প্রফেসর ব্রাডলীর কথা । কিন্তু ভূয়োদর্শনের এই দুর্বোধ্য কেন্দ্র থেকে শুরু ক’রে তিনি এমন এক ঐক্যে এসে সমাপ্তির রেখা টেনেছেন ,যাকে তিনি বলেছেন পরমাত্মা (Absolute) এবং যার ভেতরে সেই সীমাবদ্ধ কেন্দ্র তার সীমাবন্ধন ও স্পষ্টতা হারিয়ে ফেলে । তাঁর মতে এই সীমাবদ্ধ কেন্দ্র শুধু একটা অনুভূতিমাত্র । বাস্তবের স্বাদ পাওয়া যায়
সর্বান্তনির্বেশে ;এবং যখন সকল সীমাবদ্ধতা আপেক্ষিকতা দোষে সংক্রামিত,- এই তার মত । এর মানে আপেক্ষিকতা হচ্ছে শুধু ভ্রান্তি মাত্র ।আমার মতে ,ভূয়োদর্শনের এই দুর্বোধ্য সীমাবদ্ধ কেন্দ্রই হচ্ছে বিশ্বের মূল সত্য । সকল জীবনই স্বতন্ত্র সত্তা ;বিশ্বজীবন ব’লে কোন বস্তুই নেই ।আল্লাহ নিজে এক অবিভাজ্য সত্তা;
তিনি হচ্ছেন অদ্বিতীয় অবিভাজ্য সত্তা । [১]
ডক্টর ম্যাকটেগার্টের মতে বিশ্ব হচ্ছে স্বতন্ত্র সত্তাসমূহের সমষ্টি; কিন্তু আমাদের এ কথাও বলতে হবে অবশ্যই যে,এর ভেতরে যে সুশৃঙ্খলা ও ব্যবস্থাপনা আমরা লক্ষ্য করি ,তা চিরন্তন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় ।তা হচ্ছে স্বাভাবিক ও সচেতন প্রচেষ্টার পরিনতি । আমরা অনন্ত শূন্য থেকে ক্রমাগত পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করি ও এই পরিণতির সহায়তা করি । যাদেরকে নিয়ে এই সমষ্টি, তারা চিরস্থির নয় । নব নব সত্তা জন্মলাভ করছে এই মহাকার্যে সহযোগিতা করবার জন্যে । কাজেই এ বিশ্ব একটি সম্পূর্ণ নাট্যাংক নহে;ইহা এখনো সমগ্রে পৌঁছায়নি । সৃষ্টির লীলা আজো অব্যাহতভাবে চলছে ;এবং মানুষও তাতে ততোটা অংশ গ্রহণ করছে,যতোটা সে এই অন্তহীন কোলাহলকে নিয়ন্ত্রণাধীন করবার সাহায্য করছে । কোরান শরীফ আল্লাহ ব্যতীত অন্য স্রষ্টার সম্ভাবনা ঘোষণা করেছে ।[২]

“স্পষ্টতঃ মানব ও বিশ্ব সম্বন্ধে এই ধারণা ইংরেজ নব-হেগেলীয় দার্শনিকগণের ও সকল প্রকার অদ্বৈত- পূজারী সুফিবাদের মত বিরোধী । তাদের মতে বিশ্বজীবন বা বিশ্ব আত্মার মধ্যে সমাহিত হওয়া জীবনের শেষ লক্ষ্য বা মানবের মুক্তি পন্থা । [৩] মানবের নৈতিক বা ধর্মীয় আদর্শ আত্ম- অস্বীকারের নয় , বরং আত্ম -বিশ্বাসে ;এবং সে তার লক্ষ্যস্থলে পৌঁছায় অধিকতর স্বাতন্ত্র্য লাভ করে । মহামানুষ হযরত মুহম্মদ স. বলেছেন “তাখাল্লাকু বিআখলাকিল্লাহ- আল্লাহর গুজরাজিতে সমৃদ্ধ হও । “এমনি করে মানুষ পূর্ণতা লাভ করে ক্রমশঃ পূর্ণতম স্বতন্ত্র সত্তার গুণ অর্জন করে । তা ‘হোলে জীবন কি ? জীবন হচ্ছে স্বতন্ত্র সত্তা ,এর উচ্চতম স্তর হচ্ছে খুদী বা অহম-জ্ঞান, যাতে সেই স্বতন্ত্র সত্তা উপনীত হয় আত্মসমাহিত সীমাবদ্ধ কেন্দ্রে ;কিন্তু তখনো সে পরিপূর্ণ সত্তা নয় ।আল্লাহ থেকে তার দূরত্ব যতো বেশী সত্তা তার তো অপূর্ণ । আল্লাহর নৈকট্য যে আত্মা লাভ করে , সে হয় পূর্ণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন । সে পূর্ণ রূপে আল্লাহতে সমাহিত হয় না । বরং আল্লাহ তাঁর ব্যক্তিত্বের মধ্যে মিশে যান ।[৪]
সত্যিকার মানুষ শুধু বস্তর জগতকে তাঁর ভেতর মিশিয়ে নেন না,আত্মার উপরে প্রভুত্ব- সম্পন্ন হয়ে তিনি আল্লাকে তাঁর আত্মার ভেতর লীন করে দেন।জীবন একটা সমন্বয়শীল অগ্রগতি । সে তার পথের বন্ধনকে দূরীভূত করে দেয় তাদেরকে আপনার ভেতর গ্রহণ করে ।তার নির্যাস হচ্ছে ক্রমাগত আকাঙ্ক্ষা ও আদর্শ- সৃষ্টিতে; এবং তার সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের জন্য আবিষ্কার করেছে অথবা আপনার ভেতর থেকে সৃষ্টি করেছে কতগুলি যন্ত্র- বোধ ,জ্ঞান প্রভৃতি, যাতে সহায়তা করছে তাকে সকল বাধা-বন্ধনকে গ্রাস করতে ।জীবনের পথে সব চাইতে বড় বাধা হচ্ছে বস্ত -প্রকৃতি ,প্রকৃতি তথাপি একটা অপকৃষ্ট কিছু নয় ,বরং সে সহায়তা করে জীবনের অন্তর্নিহিত শক্তিকে সপ্রকাশ করতে।

“আত্মা মুক্তি লাভ করে তার পথের সকল বাধা দূরীকরণ দ্বারা ।ইহা আংশিকভাবে মুক্ত,আংশিকভাবে অবধারিত, [৫] এবং সে পূর্ণতম মুক্তিতে পৌঁছে মুক্ততম সত্তা আল্লার সান্নিধ্য লাভ করে । এক কথায় জীবন হচ্ছে মুক্তি- সংগ্রাম ।

আত্মা এবং ব্যক্তিত্বের ক্রমবাদ

“মানুষের ভেতরে জীবন- কেন্দ্র পরিণত হয় আত্মা বা ব্যক্তিতে । ব্যক্তিত্ব হচ্ছে সম্প্রসারণশীলতায় এবং তা বজায় থাকে ততোদিন ,যতোদিন এই ভাবে সংরক্ষিত হয় । যদি এই সম্প্রসারণশীলতা সংরক্ষিত না হয় তা হোলেই আসে শ্লথ । যতক্ষণ ব্যক্তিত্ব বা সম্প্রসারণশীল মনোবৃত্তি মানব-জীবনের শ্রেষ্ঠতম বিশেষত্ব বলে বিবেচিত হয়, ততোক্ষণ সে শ্লথ মনোভাব আসতে দেয় না তার নিজের মধ্যে । যা কিছু এই সম্প্রসারণশীল মনোবৃত্তিকে বজায় রাখে,তাই আমাদেরকে করে তোলে অমরতার দাবীদার । এমনি করেই ব্যক্তিত্বের ধারণা আমাদেরকে এনে দেয় একটা মা-বোধ (Standard of value) ।ভালোমন্দের প্রশ্নের সমাধান হয় তাতেই ।ব্যক্তিকে সংরক্ষিত করে যা’কিছু, তাই উৎকৃষ্ট; আর যা কিছু দুর্বল করে তাকে,তাই অপকৃষ্ট । ব্যক্তিত্বের মূল তথ্য দিয়ে বিচার করতে হবে সব কলা [৬] ধর্ম ও নীতিবাদকে। মৎকর্তৃক প্লেটোর সমালোচনা [৭]সেই সব দার্শনিক মতবাদের বিরুদ্ধে, যা জীবনের চাইতে মৃত্যুকে করে তোলে বৃহত্তর আদর্শ- যে মতবাদ জীবনের বৃহত্তম বিঘ্ন -বস্তকে করে অস্বীকার এবং আমাদেরকে পলায়ন করতে বলে তা থেকে- তাকে গ্রাস করবার পরিবর্তে ।

“আত্মার মুক্তি সম্বন্ধে যেমন আমাদেরকে বস্ত-সমস্যার সম্মুখীন হোতে হয়,ঠিক তেমনি তার অমরতা সম্বন্ধে কালের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ।[৮] বার্গসেঁর মতে জীবন একটি অনন্ত রেখা নয় -যাকে অতিক্রম করতে হয় আমাদের ইচ্ছায় ও অনিচ্ছায় । কালের এই ধারণা বিকৃত । সত্যিকার সময়ের কোন দৈর্ঘ্যই নেই । ব্যক্তিগত অমরতা একটা আকাঙ্ক্ষা ,তুমি তা লাভ করতে পারো,যদি তুমি তা লাভের জন্য উদ্যমশীল হও ।তা নির্ভর করে আমাদের জীবনে এমন ধারণা ও কর্মপন্থা অবলম্বনের উপর,যা জীবনকে পরিচালিত করে বিস্তৃতির দিকে । বৌদ্ধ মতবাদ , পারস্য সুফিবাদ ও নীতিবাদের সম্মিলিত আকার আমাদের উদ্দেশ্য সিদ্ধ করে না । কিন্তু এসব মতবাদ সম্পূর্ণ নিরর্থক নয় ,কারণ কর্মের পরে কিছুকাল আমাদের প্রয়োজন হয় নিদ্রাকর ঔষধের ।জীবনে দিবসের মধ্যে এই সকল ধারণা ও কর্ম হচ্ছে রাত্রির মতো ।যদি আমাদের কর্মধারা সম্প্রসারণশীলতার সহায়ক হয় ,তা হলে মৃত্যুর আঘাতও তাকে অভিভূত করে না । মৃত্যুর পরে একটা শ্লথনের অবকাশ আসতে পারে ,- যাকে কোরাণ বলেছে বরজখ বা রোজক্বিয়ামতের (পূনর্জাগরণ দিবস)পূর্ববর্তী কাল।শুধু সেই সকল আত্মাই এই অবস্থা থেকে জাগ্রত হবে ,যারা বর্তমান জীবনের সদ্ব্যবহার করেছে । যদিও জীবন তার ক্রম-বিবর্তনে পুণরাবৃত্ত হয় না ,তথাপি বার্গেসেঁর দৈহিক পূনর্জাগরণের মতবাদ ওয়াইলডন কারের মতে সম্পূর্ণ সম্ভব । সময়কে মুহূর্তে বিভক্ত করে আমরা তাকে সীমাবদ্ধ করি এবং পরে তাকে জয় করা দুরুহ বোধ করি । সময়ের সত্যিকার প্রকৃতি উপলব্ধি করা যায়, যখন আমরা দৃষ্টি নিবন্ধ করি আমাদের গভীরতম আত্মার দিকে । সত্যিকার সময় হচ্ছে জীবন নিজেই ,যা আপনাকে সংরক্ষিত করতে পারে সেই নির্দিষ্ট সম্প্রসারণশীলতা (ব্যক্তিত্ব) বজায় রাখার ভেতর দিয়ে । আমরা সময়ের অধীন ,যতোক্ষণ আমরা সময়কে দেখি সীমাবদ্ধরূপে । সীমাবদ্ধ কাল হচ্ছে একটা নিগড় ,যা জীবন তার নিজের জন্য আবিষ্কার করেছে বর্তমান পারিপার্শ্বিকতাকে হজম করার জন্যে । প্রকৃতপক্ষে, আমরা কালের সীমার ঊর্ধে, আমাদের জীবনে কালের সীমাহীনতা উপলব্ধি করা যেতে পারে ।

আত্মার শিক্ষা

“আত্মা সংরক্ষিত হয় প্রেম (ইশক)দ্বারা । এই শব্দটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত এবং সকল কিছুকে আত্ম-সমাহিত করা বা গ্রহণ করার ইচ্ছা বুঝায় । এর উচ্চতম রূপ হচ্ছে মূল্য বা আদর্শ সৃষ্টি ও তাকে উপলব্ধি করায় । প্রেম মহান করে তোলে প্রেমিক ও প্রেমাষ্পদকে ।সর্বোত্তম অবিভাজ্য সত্তাকে উপলব্ধি করার চেষ্টা মহান করে তোলে অনুসন্ধিৎসুকে এবং তার প্রেমাষ্পদের গুণ সপ্রকাশ করে ,কারণ অন্য কিছুতেই অনুসন্ধিৎসুর প্রকৃতিকে সন্তুষ্ট করে না । যেমন প্রেম আত্মাকে করে শক্তিমান,তেমনি ভিক্ষাবৃত্তি (সু’আল)তাকে করে দুর্বল । যা কিছু ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা ব্যতীত লব্ধ, তা সবই সু’আলের অন্তর্গত । যে ধনীপুত্র পিতার সম্পদের উত্তরাধিকারী ,সেও ভিক্ষাজীবি, তেমনি যারা অন্যের চিন্তাকে নিজের মনে করে । আত্মাকে সংরক্ষিত করার জন্য আমাদেরকে করতে হবে প্রেমের চাষ -সমন্বয়শীল কর্মপন্থা অবলম্বন ও সর্বপ্রকার ভিক্ষাবৃত্তি বা কর্মহীনতা বর্জন । সমন্বয়শীল কর্মের শিক্ষা দিয়ে গেছেন মহাপুরুষ হযরত মুহাম্মদ স. -অন্ততঃ প্রত্যেক মুসলিমকে ।

“কাব্যের একাংশে [৯] আমি মুসলিম নীতিবাদের মূলভিত্তির আলোচনা করেছি এবং ব্যক্তিত্বের ধারণার অর্থ সপ্রকাশ করতে চেষ্টা করেছি । আত্মা তার পূর্ণতার গতিপথে তিনটি স্তর অতিক্রম করে থাকেঃ-
(ক) আইন ও নিয়মের অনুবর্তিতা
(খ) আত্মশাসন -আত্ম -চেতনার উচ্চতম রূপ,
(গ) আল্লাহর প্রতিনিধি ।
” ঐশী প্রতিনিধিত্ব বা নিআবত-ই-ইলাহী পৃথিবীতে মানবতার পূর্ণ বিকাশের তৃতীয় বা সর্বশেষ স্তর । নায়েব হচ্ছেন পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি । তিনি হচ্ছেন পরিপূর্ণ আত্মা, মানবতার পূর্ণ বিকাশ [১০],জীবনে দেহ ও মনের সর্বোচ্চ সীমা ;মানসিক জীবনে সকল অনৈক্যকে আনেন সাম্যে । উচ্চতম শক্তি ঐক্যসূত্রে গ্রথিত হয় উচ্চতম জ্ঞানের সাথে । তাঁর জীবনে চিন্তায় ও কর্মে সহজাত প্রবৃত্তি ও বিচারশক্তি এক হয়ে যায় । তিনি মানবতা -বৃক্ষের শেষ ফল; এবং সকল বেদনাত্মক বিবর্তন সমর্থিত হয় তাঁর আগমনের জন্য । তিনি মানব -জাতির সত্যিকার শাসক ;রাজ্য তার পৃথিবীতে আল্লাহর রাজ্য । তাঁর প্রকৃতির প্রাচুর্য থেকে তিনি জীবন- সম্পদ বিতরণ করেন অন্যের উপর এবং নিকটতর করেন তাদেরকে । যতোই আমরা অগ্রসর হই বিবর্তনের পথে ,তাঁর নিকটতর হই আমরা ততোই । তাঁর নিকটতর হয়ে আমরা উন্নীত করি নিজেদেরকে জীবনমানের । মানবতার মানসিক ও দৈহিক ক্রমবর্ধমান তার জন্মের পূর্বাবস্থা । বর্তমানে তিনি শুধু একটি আদর্শ কিন্তু মানবতার ক্রমবিবর্তন এমন এক জাতির জন্মের সম্ভাবনা আনছে যারা কম বেশী করে অতুলনীয় সত্তার সমন্বয়ে হবে তাঁর যোগ্য জনকজননী । এইভাবে পৃথিবীতে আল্লাহর রাজ্য মানে কম বেশি করে অতুলনীয় সত্তাসমূহের এক সাধারণতন্ত্র ,যার নায়ক পৃথিবীর সর্বোত্তম স্বতন্ত্র সত্তা । নীটশের এমনি একটা আদর্শ জাতির ধারণা ছিলো ,কিন্তু তার নাস্তিকতা ও অভিজাত মতবাদ সমস্ত ধারণাটাকে বিনষ্ট করেছিলো ।”

পদটিকা :

[১] ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের মতবাদ
[২] মহিমা সেই আল্লাহর যিনি স্রষ্টাসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম।কুরআন
[৩] মহাকবি ইকবালের “ইসলাম এন্ড মিস্টিসিজম “
[৪] খুদীর পঞ্চদশ অধ্যায় [মুসলিম জীবনের উদ্দেশ্য আল্লাহর বানীকে স্বার্থক করা । জেহাদের মূলে যদি থাকে রাজ্যলাভ ,তা হোলে তা ইসলামের বিধি -বহির্ভূত] ।
[৫]সত্যিকার ঈমান হচ্ছে অদৃষ্ট ও মুক্ত -বুদ্ধির মধ্যমপন্থায় । হাদীস
[৬] মহাকবি ইকবালের মতে মানব জীবনের সকল কর্মশক্তির শেষ লক্ষ্য হচ্ছে এক জীবন মহিমান্বিত শক্তিমান উচ্ছ্বসিত ।
[৭] খুদীর সপ্তম অধ্যায়- প্লেটো যার চিন্তাধারা গভীর ভাবে প্রভাবান্বিত করেছে ইসলামের আধ্যাত্মিক চিন্তাধারা ও সাহিত্যকে মেনে চলতেন মেষের ধর্ম । আমাদেরকে আত্মসংরক্ষন করতে হবে তাঁর প্রচারিত শিক্ষার বিরুদ্ধে ।
[৮] সপ্তদশ অধ্যায়- সময় হচ্ছে তরবারি
[৯] আত্মার শিক্ষার তিনটি স্তর আছে :আইন ও নিয়মের অনুবর্তিতা, আত্মশাসন আর আল্লার প্রতিনিধিত্ব ।
[১০] ২:২৮ কুরআন ।

অনুবাদ: সৈয়দ আবদুল মান্নান
সম্পাদনা:আবদুল কাদের জিলানী

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *