Islam and Nationalism :Allama Iqbal

মুহাম্মদ ইকবাল অবিভক্ত ভারতের অনন্য মুসলিম দার্শনিক। যিনি একাধারে কবি, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও আইনবিশারদ। ইকবালের কবি পরিচিতি সারা বিশ্বে তাকে বিশেষ খ্যাতি এনে দিয়েছে। তার দার্শনিক পরিচয়ের গুরুত্ব মুসলমানদের রাজনৈতিক ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে কবি ইকবালের বিশেষ গবেষণা ছিলো। ইউরোপের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ আর ভারতীয় জাতীয়তাবাদ ও আধিপত্যবাদের বিপরীতে ইকবাল মুসলিম জাতীয়তাবাদের যে ধারণা দিয়ে গিয়েছিলেন তা আজও প্রাসঙ্গিক।

আলোচ্য নিবন্ধে আমরা ইকবালের দৃষ্টিতে জাতীয়তাবাদকে দেখার চেষ্টা করবো। প্রসঙ্গক্রমে ইসলাম, জাতীয়তাবাদ এবং কবি ইকবালের জাতীয়তাবাদের ধারণা সম্পর্কিত তুলনামূলক সংক্ষিপ্ত আলোচনাও আসবে।
যখন আমরা জাতি ও জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে বিভিন্ন এবং বিরোধী মতামতের মুখোমুখি হই, তখন ইকবালকে স্মরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মুসলিম কবি ও দার্শনিক যে বুদ্ধিবৃত্তিক যাত্রা শুরু করেছিলেন, তিনি যেভাবে ইসলাম, ধর্ম ও আধুনিকতার দিকে নজর দিয়েছিলেন, তা থেকে আমরা ব্যাপক উপকৃত হতে পারি।

জাতীয়তাবাদের ধারণা হলো- প্রতিটি জাতির স্বায়ত্তশাসনের অধিকার আছে। ভাষাভিত্তিক হোক আর অঞ্চলভিত্তিক হোক, প্রতিটি জাতির স্বায়ত্তশাসন চাওয়ার অধিকার আছে। ইকবাল এটিকে ইসলামের সাথে সমন্বয় ঘটাতে চেয়েছিলেন। ১৯৩০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের এক অধিবেশনে তার জাতীয়তাবাদের ধারণা পেশ করতে গিয়ে বলেন, ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের মাঝে মাত্র আট কোটি মুসলমানের নিরাপত্তা প্রদান করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সমাধান হিসেবে হয়তো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনতা মেনে নিতে হবে অথবা সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক ও ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা হয়ে সাম্প্রদায়িক সমস্যার সমাধান করতে হবে।

এর আগে ১৯০৪ সাল পর্যন্ত ইকবাল জাতীয়তাবাদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রসঙ্গ নিয়ে যে চিন্তাধারা উপস্থাপন করেছেন, জীবনের বাকি সময়ে তিনি তা থেকে সরে আসেন। এ কারণে তাঁর ইউরোপ জীবন (১৯০৫-১৯০৮) তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখে। লন্ডন, ক্যামব্রিজ, মিউনিখসহ ইউরোপের বিভিন্ন শহরে অবস্থানকালে তিনি পশ্চিমা বিশ্বের রাজনৈতিক দর্শন, চিন্তা, বোধ ও বিশ্বাসকে ভেতর থেকে দেখার এবং পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন।

এই পর্যবেক্ষণের ফলে ইকবাল জাতীয়তাবাদের ইউরোপীয় ব্যাখ্যা ও অনুশীলন এবং এর ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক ও সচেতন হওয়ার সুযোগ পান। ভাষা, ভূখণ্ড, গোত্র ও বর্ণভিত্তিক জাতীয়তাবাদ মানবতার জন্য এক ধরনের অভিশাপ। এসব জাতীয়তাবাদ অন্য মানুষের জন্য অমানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করে। এর বিপরীতে ইসলামের জীবনাদর্শ ও সংস্কৃতিভিত্তিক জাতীয়তাবাদ মানবতার জন্য করুণা ও আশীর্বাদ হতে পারে। এতে মানুষ ‘মানুষ’ হিসেবে স্বীকৃতি ও সম্মান পায়।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের (১৯১৪-১৯১৯) সূত্রে প্রচলিত ভাষা-ভূখণ্ড-গোত্র-বর্ণভিত্তিক জাতীয়তাবাদের মর্মান্তিক মাশুল ইকবাল দেখেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়ের তিনি আশঙ্কা করেছিলেন। ‘সাম্রাজ্যবাদের দানব’ এ জাতীয়তাবাদের সৃষ্টি। ‘জাতীয়তা’ চিন্তার প্রথম পর্বে ইকবাল ইউরোপীয় বিবেচনায় উদ্বুদ্ধ ছিলেন। তাই তিনি ‘তারানায়ে হিন্দী’ কবিতায় ভূখণ্ডভিত্তিক ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জয়গান গেয়েছেন। লিখেছেন: ‘সারে জাহাঁ হে আচ্ছা/হিন্দুস্তাঁ হামারা’, বলেছেন, ‘ভারতের ফুল বাগানে আমি এক বুলবুল।’

তৎকালীন মুসলিম নেতৃবৃন্দের একটি অংশ ভূখণ্ডভিত্তিক ভারতীয় জাতীয়তাবাদের পক্ষে প্রচারে নামেন। মাওলানা আবুল কালাম আযাদ ও হুসাইন আহমাদ মাদানী রহমাতুল্লাহি আলাইহির মতো শীর্ষ ক’জন আলেমও এ মত প্রচার করেন। এ পর্যায়ে ইকবাল নীতিগত অবস্থান থেকে বলেন, জাতীয়তাবাদী ঐক্য ও সংহতির জন্য মানুষের সাংস্কৃতিক ও আদর্শিক ঐক্য অপরিহার্য। ধর্মীয় সূত্রে সারা বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠীর তাওহীদ ও কাবাকেন্দ্রিক আদর্শিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্য রয়েছে। কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন ভাষা ও ভূখণ্ডে বিভক্ত অবস্থানে থাকার কারণে ওই ‘সার্বজনীন নেতৃত্ব’ ব্যর্থ হওয়ায় একক নেতৃত্বের অধীনে তাৎক্ষণিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়া সম্ভব নয়। তাই তাদের ভূখণ্ডভিত্তিক নেতৃত্বের অধীনে আপাতত ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং ভূখণ্ড ও ভাষাভিত্তিক ভিন্নতা স্বীকার করেই বিশ্ব পর্যায়ে একটি শিথিল, আদর্শিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

মুসলিম জাতির ঐক্যকে ইকবাল একটি ‘স্বাভাবিক ঐক্য’ হিসেবে দাবি করে বলেন, ‘জাতীয়তা দেশ ও ভাষার ভিত্তিতে হয় না, বরং দ্বীন ও আকীদা-বিশ্বাসের ভিত্তিতেই গঠিত হয়। যে সব জাতির ধর্মীয় বিশ্বাস ও পথ মুসলমানদের থেকে ভিন্নতর, তাদের জাতীয়তা থেকে মুসলিম জাতীয়তা সম্পূর্ণ পৃথক।’

ভূখণ্ডভিত্তিক জাতীয়তা বিষয়ে ইকবাল লিখেন: ‘ওইসব জীবন্ত খোদার মধ্যে/সবচেয়ে বড়ো খোদা জন্মভূমি/যা তার জামা/তা-ই ধর্মের কাফন’। ইকবাল জাতীয়তাবাদীদের তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন: ‘হে অঞ্চল-পূজারী/ এরা হিন্দী আর ওরা খোরাসানী/এরা আফগানী আর ওরা তুরানী-/বাদ দাও এসব, ছড়িয়ে পড়ো সারাবিশ্বে/সাগর তরঙ্গময়। ‘এক জাতি যে আরেক জাতির দুশমন-তার মূল তো এই/ দেশ বিজয়ের নেশাও আসে এই স্বদেশের প্রেম থেকেই/ রাষ্ট্র থেকে ধর্ম যে আজ পৃথক তারও এই কারণ/ এতেই করে সবলরা ভাই দুর্বলদের আক্রমণ/ ওয়াতানিয়াতের তরেই আজি খণ্ডিত সব মানবজাত/দ্বীন ইসলামের কওমিয়াতের জড় কেটে দেয়া ওয়াতানিয়াত।

আদর্শিক মুসলিম জাতি, তারা যে ভূখণ্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠ, সে এলাকায় স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। পশ্চিমা ধারণা ছিলো, জাতি সাধারণত অঞ্চলভিত্তিক, ভাষাভিত্তিক বা বর্ণভিত্তিক হবে এবং তার আলোকে সেখানে যারা সংখ্যাগুরু, তাদের রাষ্ট্র গঠিত হতে পারে। তবে তাদের মধ্যে আদর্শিক জাতির ব্যাপারে কোনো ধারণা ছিলো না। কিন্তু ইকবাল সেখানে ইসলামভিত্তিক জাতির কথা বললেন। মুসলমানদের বললেন ‘আদর্শিক জাতি’। তিনি তার কাঙ্ক্ষিত জাতীয়তা বিষয়ে লিখেন: ‘চীন ও আরব আমাদের/ হিন্দুস্তান আমাদের/আমরা মুসলিম/সারা জাহান আমাদের।’ লিখেছেন: ‘আমরা দেশের কোনো সীমানা চিনি নাই/দুইটি নয়ন হতে একক রশ্মির মতো আমরা সবাই/ হেজাজ, ইরান, চীন সব আমাদের/ আমরা তাদের।’

জীবনের সামগ্রিক দর্শন হিসেবে ইকবাল ইসলামকে গ্রহণ করেছিলেন পরিণত বয়সে। এ জীবন দর্শনের তাৎপর্যপূর্ণ অংশ রাষ্ট্রদর্শন। এ রাষ্ট্রদর্শনের উৎস মহাগ্রন্থ আল-কুরআনুল কারীম। কুরআন বিষয়ে ইকবালের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ: ‘কুরআন কি জানো? পুঁজিবাদীর মৃত্যু পরোয়ানা এই কুরআন/ যার কিছু নেই সেই কৃষক শ্রমিকের এ বন্ধু’। এভাবেই শুরু ইকবালের রাষ্ট্রদর্শনের। ইকবাল বলেন: ‘ইসলাম মানুষের একত্বকে আত্মা ও বস্তুর সমন্বয়াতীত দ্বৈতবাদে বিভক্ত করে না। ইসলামে আল্লাহ ও বিশ্ব প্রকৃতি, আত্মা ও বস্তু, উপাসনাগার ও রাষ্ট্র একে অপরের পরিপূরক।’

এক ভাষণে কবি ইকবাল তাঁর রাষ্ট্রদর্শন ব্যাখ্যা করে বলেন, (আংশিক) ‘…….স্থান-কালের পরিপ্রেক্ষিতে জড় চেতনের রূপ লাভ করে। মানুষের মধ্যে জড় ও চেতনের সমাবেশ বিদ্যমান। জগতের কার্যকলাপের মধ্যে মানুষ প্রতিভাত হয় দেহরূপে; সেই একই কার্যের আদর্শ ও উদ্দেশ্য বিচারে তাকে দেখতে পাওয়া যায় মন বা আত্মারূপে। তাওহীদের কার্যকরী অভিব্যক্তি হল সাম্য, সংহতি ও স্বাধীনতায়। ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গিতে রাষ্ট্র হলো এই আদর্শ নীতিগুলোকে স্থান ও কালের শক্তিতে পরিণত করার প্রচেষ্টা বা এসব নীতিকে নির্দিষ্ট মানবীয় অনুষ্ঠানে রূপান্তরিত করার আকাঙ্ক্ষা। একমাত্র এই বিশেষ অর্থেই ইসলামী রাষ্ট্রকে ‘ধর্মীয়’ আখ্যা দেয়া হয়। এর অর্থ এই নয় যে, ‘ধরাপৃষ্ঠে আল্লাহর প্রতিভূ’ বেশে কেউ এ রাষ্ট্রের কর্ণধার থাকবেন এবং নিজের কল্পিত অভ্রান্ততার সুযোগ নিয়ে তিনি যথেচ্ছা অধিকার ভোগ করবেন। ইসলামের সমালোচকেরা এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটির প্রতি দৃষ্টি দেননি।… ঐহিক জগৎ বলে কিছু নেই। বস্তু জগতের এই বিশাল অভিব্যক্তি আত্মার আত্মোপলব্ধিরই একটি পন্থা মাত্র। সব ভূমিই পবিত্র ভূমি। রসূলুল্লাহ বলেছেন, ‘আমাদের সমগ্র পৃথিবীটাই একটি মসজিদ।’

যদিও জাতীয়তাবাদের পারিভাষিক অর্থ এবং ব্যবহারের প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি, এটি একটি স্বতন্ত্র ধর্মের মতো। এটি একটি মতবাদ, যার স্বতন্ত্র চিন্তাধারা, আচার-প্রথা ও সভ্যতা-সংস্কৃতি রয়েছে। প্রচলিত জাতীয়তাবাদের যে অর্থ ও মর্ম, সে অর্থে কবি ইকবাল জাতীয়তাবাদের ধারণা পেশ করেননি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, (অনুবাদ) ‘এই তাজা মূর্তিগুলোর মধ্যে সবচে বড় মূর্তি হলো দেশ। তার পোশাক হলো ওই বস্ত্রখণ্ড, যা ধর্মের কাফনের কাপড়।’

ইকবালের জীবনীকারদের মতে, প্রচলিত জাতীয়তাবাদ থেকে বিশ্ব মুসলিম জাতীয়তাবাদের ধারণার দিকে স্থানান্তর হওয়া তার পারস্য রচনায় আগ্রহী ও দীক্ষার প্রভাব বলে মনে করা হয়। প্রথম দিক থেকেই ভাষা ও সাহিত্যে আগ্রহী হলেও ইকবাল কখনও ফারসি ভাষায় রচনা করেননি। ইউরোপে তিনি ফারসি ভাষায় রচনা শুরু করেছিলেন। ফারসি পূর্ববর্তী মুসলিম বিশ্বের অন্যতম ভাষা ছিল। এই কারণে, তিনি এই ভাষায় রচনা শুরু করেন। তাঁর ফারসি ভাষা পছন্দ করার মূল কারণ ছিলো তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক ও কাব্যিক প্রতিশ্রুতির নতুন ফ্রেমে আবদ্ধ হওয়া। সুতরাং, জাতীয়তাবাদ থেকে বিশ্ব মুসলিম জাতীয়তাবাদের প্রতি ঝুঁকে পড়া তাঁর কাব্যজীবনে এক নতুন পর্বের সূচনা করেছিল।

মহান সৃষ্টিকর্তাকে উপলব্ধি করার প্রচেষ্টায় যে রাষ্ট্রের প্রয়োজন, এমন এক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্যই জাতীয়তাবাদের নতুন এক ধারণা পেশ করেন দার্শনিক ইকবাল। তিনিই প্রথমে মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহকে পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদের ধারণা দেন। বাস্তবে তা তাঁর দেখা হয়নি। বৃটিশ-ভারতীয় প্রেক্ষাপটে ইকবাল স্থানীয় ও তৎকালীন মুসলিম জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে যে স্বাধীন আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছিলেন, ‘ধর্ম-বিবেচনার দোষে’ তা নানাভাবে সমালোচিত হয়েছে। কেউ কেউ সে সমালোচনাকে খণ্ডনও করেছেন। ব্যক্তিত্ব, পাণ্ডিত্য আর শুদ্ধতার সেরা সমন্বয় ইকবাল একটি নাতিদীর্ঘ জীবনকাল (১৮৭৭-১৯৩৮) পেয়েছিলেন। ‘খূদী’কে ‘ইনসানে কামিলে’ উন্নীত করেই সম্ভবত ইকবাল ইহজীবন শেষ করেন। লিখেন জীবনের শেষ পংক্তিমালা: ‘প্রকৃত মুমিন কে বা,/ শোন তার পরিচয় / মরণ আসিবে যবে/ অধরেতে হাসি রয়।’

মোদ্দাকথা হলো, ইন্তেকালের তিন মাস আগে ইকবাল এক বার্তায় বলেন, একতা ও ঐক্যের শুধু একটি ভিত্তি-ই নির্ভরযোগ্য। সেটা হলো মানুষের ভ্রাতৃত্ব, যা বর্ণ-গোত্র-ভাষার উর্ধ্বে থাকবে। তিনি মূলত এমন এক জাতীয়তাবাদের ধারণা দিতে চেয়েছিলেন, যেটা হবে তাওহীদ তথা আল্লাহর একত্ববাদের ভিত্তিতে। এটা হলো মুসলিম জাতীয়তাবাদ। তবে সে সময়ে পাকিস্তান নামে স্বাধীন এক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনের প্রসঙ্গক্রমে ইকবাল জাতীয়তাবাদের কথা বলায় অনেকে তার জাতীয়তাবাদের ধারণাকে ‘পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদ’ বলে অভিহিত করে থাকেন। এই ভিত্তিতে তাকে পাকিস্তানের ‘আধ্যাত্মিক জনক’ও বলা হয়ে থাকে।

তথ্যসূত্র :

১. ইসলামে ধর্মীয় চিন্তার পুনর্গঠন, আল্লামা ইকবাল সংসদ কর্তৃক প্রকাশিত।

২. নুকূশে ইকবাল, মূল: সায়্যিদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ.); অনুবাদ : মৌলভী শামসে তিবরীয খান।  মজলিসে তাহকীকাত ওয়া নাশরিয়াতে ইসলাম, লখনৌ, ভারত।

৩. পাকিস্তানের ঐতিহাসিক পটভূমিকা, সৈয়দ আব্দুল মান্নান সম্পাদিত, ইকবাল একাডেমি করাচি।

৪. http://www.allamaiqbal.com/publications/journals/review/apr61/5.htm
৫.The Political Philosophy

লেখক পরিচিতি:
আরশাদ ইলয়াস
গবেষক
লেখক
চিন্তক

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *