Insan-e kamil

(১)
যৌন সঙ্গম লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায় মাত্র ।
কেবল বিবাহের মাধ্যমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব ।
কিন্তু ব্যাভিচারের উদ্দেশ্য লক্ষ্যে না পৌঁছে সমাজ ও ধর্মীয় জীবন যাপন কলুষিত করা ।
স্রষ্টা ও প্রকৃতি বিরোধী মিশন বাস্তবায়ন করা ।
“তোমাদের স্ত্রী’রা তোমাদের শস্যক্ষেত্র অতএব যেভাবে ইচ্ছা শ্যসক্ষেত্রে প্রবেশ করো । “
শস্যক্ষেত্রের লক্ষ্য- উদ্দেশ্য কি ?
ক্ষেত্র প্রস্তুত, সেচ ব্যবস্থা,
আবর্জনা দূর করা এবং যথা সময়ে বীজ বপন করা।
তোমাকে অভিজ্ঞ হতে হবে সময় ও পদ্ধতি সম্পর্কে।
কেবল একজন দক্ষ কৃষকই পারে শস্যক্ষেত্র প্রস্তুত করতে এবং বীজ বপন করতে ।
তোমাকে মনোযোগ দিতে হবে আগাছা দমনে,
তারপর পানি ,চাষাবাদ ও আবর্জনা দূর করে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে তোমার শস্যক্ষেত্র ।
তারপর নিয়মিত যত্ন নিতে হবে,
বীজ বপন করা থেকে বীজের বেড়ে ওঠার সময় গুলোতে ;
কারণ শীত ও গ্রীষ্মকালে বীজ বপনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ।
আর ভুল পদ্ধতি গ্রহণ করলেই শস্যক্ষেত্রের উর্বরতা নষ্ট হবে ।
যৌন জীবন যেমন লজ্জাজনক নয় তেমনি এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করারও কিছু নেই ।
যৌন জীবনে একটি আধ্যাত্মিক দিক রয়েছে ।
তাই শারীরিক আনন্দকে স্রষ্টা উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত করেছেন ।
আর তাই সন্তান জন্মদানের মাধ্যমেই উত্তরাধিকারের রূহানিয়াত পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হয়।
আর যে শস্যক্ষেত্রের ফসল আমাদের জন্য ইহলৌকিক ও পারলৌকিক পুঁজি ।
অতএব আমাদেরকে একজন দক্ষ ও কর্মঠ কৃষক হতে হবে।
তাহলেই শস্যক্ষেত্র থেকে আশানুরূপ ফল পাওয়া সম্ভব ।
তুমি যদি নিজেকে পাশবিক, ধৈর্য্যহীন ,ধর্মহীন ও অবিবেচক কৃষক হিসেবে তৈরি করো ,
তাহলে উর্বর শস্যখেত থেকেও তুমি ফল লাভে সফল হবে না ।
তাই নিজেকে দক্ষ, বিচক্ষণ ও দূরদর্শী কৃষক হিসেবে তৈরি করো ।
তারপর তোমার নির্ধারিত শস্যখেতে প্রবেশ করো।

(২)
মুসলমানদের ধর্মই তার সংস্কৃতি ।
গাছ আর বীজের মধ্যে যে সম্পর্ক ,
ধর্ম ও সংস্কৃতির মধ্যে সেই সম্পর্ক ।
ইসলাম ধর্ম থেকেই মুসলিম সংস্কৃতি ও সভ্যতার জন্ম ।
বীজ থেকে যেভাবে গাছের জন্ম ,তেমনি গাছ থেকেও নতুন বীজ জন্মে ।
জলপাই, বাদাম ও খেজুর বীজ থেকে পরগাছা প্রজাতির নতুন গাছ জন্মে না ।
বরঞ্চ আরো শক্তিশালী আরো প্রাণবন্ত জলপাই বাদাম ও খেজুর বৃক্ষ জন্মে ।
তাই বাঙালি সংস্কৃতির নামে হনুমান গনেশ ও প্যাঁচারা মুসলিম সংস্কৃতির মঙ্গল দাতা না ।
তাই এরা বাঙালি মুসলমানের আশীর্বাদ ঈশ্বরও হতে পারে না ।
ধর্ম দেশের সীমা অতিক্রম করে কিন্তু সংস্কৃতি জাতীয় সীমায় চর্চিত ।
তবে দেশ- জাতীয়তায় সংস্কৃতির ভিন্নতা রয়েছে,
কিন্তু ধর্ম সেখানে পৃথিবীর সাথে একটা বন্ধন তৈরি করেছে ।
তাই মুসলিমের সংস্কৃতি ভিন্নতা থাকলেও ধর্ম ঐক্যবদ্ধ করে ।
তবে সংস্কৃতির সাথে যে বিষয় গুলো এক আল্লাহর সাথে সাংঘর্সিক সে গুলো সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত নয় ।
তাই ধর্ম যার যার উৎসব সবার কথাটি মুনাফিকি বচন ।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সংস্কৃতিকে প্রধান মনে করে এবং ধর্ম বরাবরই গৌন ভূমিকায় পালিত হয়ে থাকে ।
আর খ্রিস্টানরা ধর্মকে জীবন থেকে বের করে গির্জায় আবদ্ধ করে রেখেছে ।
হিন্দুরা ধর্ম বিশ্বাসে কখনো ব্রহ্মবাদী কখনো অবতারবাদী কিন্তু সংস্কৃতিতে তারা পৌত্তলিক ।
আর খ্রিস্টানরা পুস্তকের ধর্মে তিন ঈশ্বরে বিশ্বাসী কিন্তু সংস্কৃতিতে ভোগবাদী ও লাগামহীন জীবন যাপনই প্রধান উদ্দেশ্য ।
মুসলমান ধর্ম বিশ্বাসে একেশ্বরবাদী ।
তাই ধর্মের সাথে সাংঘর্সিক সংস্কৃতি চর্চা থেকে তারা বিরত থাকে ।
বিজাতীয় কালচারকে পিতা ইব্রাহিমের কালচার মনে করে না ।

(৩)
অধিকাংশ মুসলমান “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” কে কেবল কালেমা জ্ঞান করেন ।
তারপর আনুষ্ঠানিক ইবাদাত বন্দেগী ও ধর্মীয় ধ্যান ধারণা হিসেবে গোটা জীবন উদযাপন করেন ।
কিন্তু এই কালেমা সমস্ত বাতিল শক্তির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ ও বিরুদ্ধ বিপ্লবী ঘোষণা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন রাসূল ﷺ ।
কিন্তু মুসলমান ভাবে এই বিপ্লবী ঘোষণার উদ্দেশ্য কেবল পরকালের মুক্তি সেখানে ইহকালের কোন সম্বন্ধ নেই ।
কিন্তু এই বিপ্লবী ঘোষণার উদ্দেশ্য পার্থিব জগতে চলতে থাকা জুলুম, হত্যা, অবিচার ,অন্যায় ও ফেরাউনি শক্তির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা।
কারণ এটাই মুহাম্মদ ﷺ এর শিক্ষা ।
তারপর পূর্ণাঙ্গ জীবন দর্শন হিসেবে বাস্তব জীবনের সাথে গ্রহণ করা ।
আর এতে প্রতিবন্ধকতা আসবে,
তবু হত্যা নিপীড়ন জুলুম নির্যাতন অতিক্রম করে সত্য পথ নির্মাণ করে যেতে হবে ।
ইব্রাহিম হয়ে ওঠার পূর্ব শর্ত অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া।
ইউসুফ হয়ে ওঠার পূর্ব শর্ত গভীর কূপে নিমজ্জিত থেকেও স্রষ্টার উপর বিশ্বাসে অটল থাকা ।
মুহাম্মদ ﷺ যেভাবে প্রাণান্তকর সংগ্রাম, চরম দ্বন্দ্ব সংঘাত,অবর্ণনীয় বিপদ,দুঃখ- কষ্ট, সীমাহীন হয়রানি,বিরামহীন ক্ষুধা দুর্ভোগ ও দুঃসহনীয় নির্বাসনের সম্মুখীন হয়েও মহান লক্ষ্য ও আদর্শ থেকে দূরে সরে যাননি ;
তেমনি ধৈর্য্য ও আত্মশক্তি ও সুদূরপ্রসারী পথের পথিক হয়ে উঠতে হবে ।
লক্ষ্য অর্জনের পরিপূর্ণতা লাভের জন্য প্রার্থনা অর্থাৎ নামাজ ফরজ করা হয় ।
স্রষ্টার সাথে কথা বলার এবং বিপ্লবী ঘোষণা তার গন্তব্যে পৌঁছাতে সংকীর্ণতা ও হতাশা দূর হওয়ার মন্ত্রবাণী হয়ে ওঠে নামাজ ।
মগজ ও হৃদয়ে বদ্ধমূল হয়ে ওঠে স্রষ্টার আনুগত্য ও সার্বভৌমত্ব ।
ঠিক সেভাবেই আজ ঘুরে দাঁড়াতে হবে ।
মুহাম্মদ ﷺ এর কাফেলায় একজন বিশ্বাসী সেনা হয়ে উঠতে হবে ।
হত্যা নিপীড়ন আর জুলুম চলতে থাকবে বছরের পর বছর ধরে ;
তারপর এক সময় জনমনে প্রশ্ন উঠবে কেন কেবল তাদের উপর হত্যা নিপীড়ন ?
তবে কি নারী, সম্পদ, ক্ষমতা, খ্যাতি, ও ব্যক্তিগত প্রতিপত্তির স্বার্থে তাদের এই উৎসর্গ ?
যখন সাধারণ মানুষ উপলব্ধি করবে সত্য ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য এই নিপীড়ন,
যখন মানুষ দেখবে মহা সত্য আক্রে ধরার কারণেই এই জুলুম – নির্যাতন,
যখন মানুষ দেখবে দুর্নীতি লুটপাট জুলুমবাজি ও লাগামহীন ক্ষমতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণেই এই অত্যাচার,
তখন সাধারণ মানুষের হৃদয়ও এই সত্য উপলব্ধি করতে ব্যাকুল হবে ।
যখন হৃদয়ে প্রশ্ন জাগবে কি সেই মহা সত্য?
যার দরুণ ইহকাল ও পরকালের সমৃদ্ধি ও মুক্তি পাওয়া সম্ভব ।
আর সেই মহা সত্য” লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ “।
বিপ্লবী ঘোষণা আসুক প্রতিটি মুমিন হৃদয়ে ।
আর সেই ঘোষণা বিদ্রোহ ঘটাক ইহলৌকিক জীবনের জুলুম নির্যাতন ও ফেরাউনি ক্ষমতার বিরুদ্ধে ।
তারপর পরোকালের পথ তৈরি হোক সেই সত্যের উপর ।

(৪)
মুহাম্মদ ﷺ জীবিত নেই ,
তাই আধুনিক শিরককারী মূর্তিনির্মাণকারী ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আবশ্যকতাও কি নেই ?
সাহাবাদের সেই দীপ্ত ঈমান এবং তরবারিও জীবিত নেই ;
তাই অন্যায় জুলুম অত্যাচার ও শিরকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণাও হয় না ।
তাই আল্লাহর উদ্দেশ্যে জীবন উৎসর্গ করে শাহাদাতের শরবত পান করার ইচ্ছাও কোন মুমিনের মধ্যে এখন আর দেখা যায় না ।
কেমন প্রাণহীন হৃদস্পন্দনহীন এক পাল গবাদি পশুর মতো মুসলমানেরা জীবন যাপন করছে ।
যাদের চোখের উপর শিরক জেনা জুলুম ও হত্যা নৃত্যরত আর হৃদয়ে উপলব্ধি হয় কাফের- মুশরিকদের সংস্কৃতি আইন ও সভ্যতা ।
আধুনিক মুনাফিকেরা বলে আমি যদি মুহাম্মদ ﷺ এর জামানায় জন্ম নিতাম তাহলে রাসূলের ﷺ তরে জীবন দিয়ে দিতাম ।
আফসোস করে গোটা জীবন পার করে দেয় ।
কিন্তু এরাই গোপনে ও প্রকাশ্যে রাসূল ﷺ ও কুরআনের বিরোধীতা করে ।
আর ধর্মকে উৎসব ও আনুষ্ঠানিক ইবাদাতে ব্যবহার করে অধর্মকে সমাজ রাষ্ট্র ও জীবন যাপনে গ্রহণ করে ।
কি অদ্ভুত মিথ্যাচার তাদের ।
আজ যদি মুহাম্মদ ﷺ এসে বলতো মিথ্যা জুলুম ও শিরকের রাস্তা পরিহার করে আহাদে একত্রিত হও ।
তাহলে মক্কার জাতীয়তাবাদীদের মতো এরাও বলতো আমরা সত্য পথে আছি ,
পিতা- মাতা ও পূর্বপুরুষের পথে আছি,
জাতীয় নেতার আনুগত্য ও
প্রবৃত্তির অনুসরণ করে সত্য পথে আছি ।
কিন্তু একজন মুমিন ঈমানের চোখ দিয়ে দেখে মুহাম্মদ ﷺ জীবিত ।
তার রেখে যাওয়া আমানত মুমিনের কাঁধে ।
আধুনিক বস্তুবাদী শিরকী মতবাদ, মূর্তিপূজা ,ফেরাউনি শক্তি, হত্যা- নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও এই পথে মৃত্যু বরণ যেন আল্লাহর তরে জীবন উৎসর্গ করা ।
তাই সত্যের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া এবং সেই পথে মৃত্যু বরণ করে শাহাদাতের শরবত পান করার ইচ্ছাই হোক মুমিনের উদ্দেশ্য ।
মুমিনের অন্তর চক্ষু দেখুক মুহাম্মদ ﷺ জীবিত ।
তার রেখে যাওয়া আমানত কুরআন ও তার মুখের বাণী মুমিনের পথপ্রদর্শক ।

(৫)
রুশো ভলতেয়ার মন্টেস্কুরা’ই ফরাসি বিপ্লবের নৈতিক পিলার গেড়ে ছিল ।
কাল মার্কসের দর্শন সেই বিপ্লব সফল করতে সমাজতন্ত্রের ছাঁচে হাজার হাজার কর্মী গড়ে তুললো।
লেলিন ট্রটস্কি’র নেতৃত্বে রুশ বিপ্লব বীজ থেকে বেড়িয়ে বৃক্ষে রূপ লাভ করল ।
হেগেল গ্যেটে নিটশের মতো অসংখ্য চিন্তাবিদের দর্শন জার্মানির জাতীয় সমাজতন্ত্রের নৈতিক সাংস্কৃতিক ও মনস্তত্ত্বে শিকড় গেড়ে বসল ।
আর হিটলারের দুর্ধর্ষ ও অপরিনামদর্শী নেতৃত্ব জার্মান জাতীয়তাবাদকে উজ্জীবিত করেছিল ।
একটি বিপ্লব সফল হওয়ার জন্য আন্দোলন, অনুরূপ নেতৃত্ব ও দক্ষ কর্মী আবশ্যক।
তেমনি সামষ্টিক প্রেরণা, সামাজিক চেতনার সাথে সাংস্কৃতিক ও নৈতিক পরিবেশের তীব্র দাবি করে ।
আবেগ, জিদ আর প্রতিহিংসায় কোন বিপ্লব রাতারাতি সফল হয় না ।
পূর্ব পরিকল্পনা, একনিষ্ঠ কর্মী এবং ধৈর্য্যের মাধ্যমেই কেবল সফল বিপ্লব ঘটানো সম্ভব ।
কুরআনিক দর্শন ও মুহাম্মদ স. এর আদর্শের ভিত্তিতে একটি গণ বিপ্লব ঘটানো সম্ভব ।
ব্যক্তি জীবন থেকে সামাজিক জীবনের মনস্তাত্ত্বিক নৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয় গুলো সংগ্রাম ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব ।
তবে অলৌকিক পন্থায় কোন বিপ্লবে আমি বিশ্বাস করি না ।
রক্ত প্রচেষ্টা সংগ্রাম ও ধৈর্য্য ছাড়া কোন বিপ্লব হঠাৎ করে ঘটে না ।
তাই কাজ যেমন হবে ঠিক ফলাফলও তেমনি হবে।

(৬)
কুরআন নারী নেতৃত্বের উপর কি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ?
লেনদেনের চুক্তি বিষয়ে নারীর সাক্ষ্য যেমন পুরুষের অর্ধেক তেমনি কি মর্যাদা, বুদ্ধি মত্তা ও অন্যান্য দিক দিয়েও নারী কি পুরুষের অর্ধেক ?
কেনই বা লেনদেনের চুক্তি বিষয়ে নারীর সাক্ষ্য পুরুষের অর্ধেক ?
মুসলিম সমাজে নারীর প্রতি যে অবদমন তা কি কুরআন থেকে অনুসরণ করা নাকি ইহুদি- খ্রিস্টানদের পুরাণ থেকে অনুকরণ ?
পবিত্র কুরআন সাবার রাণী বিলকিসের নেতৃত্বের গুণ সম্পর্কে প্রশংসা করেছেন ।
তাঁকে জ্ঞানী প্রজ্ঞাবান গণতন্ত্রমনা এবং পরামর্শে বিশ্বাসী নেতা হিসেবে দেখিয়েছেন ।
নবী সোলায়মান আ. যখন সত্যের দাওয়াত দিলেন তখন তিনি তাঁর মন্ত্রীদের এবং জনগণকে সেই সত্য উপলব্ধি করাতে সক্ষম হন।
রাষ্ট্র পরিচালনায় নারীর ক্ষমতায়নে কুরআন থেকে কোন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি ।
তবে যারা নারী নেতৃত্বের বিরোধীতা করেন তারা চার খলিফা ও রাসূল স. এর ইমামতি ও যুদ্ধের সময় নেতৃত্বের উদাহরণ দিয়ে থাকেন।
মহিলারা ইমামতি ও যুদ্ধের সময় নেতৃত্ব দিতে অক্ষম কিন্তু এই আধুনিক সময় দেখা যায় নিরাপত্তার কারণে রাষ্ট্র প্রধানের পক্ষে ইমামতির দায়িত্ব পালন করা কঠিন ।
যুদ্ধ এখন আর তরবারি ও মাঠে নেমে প্রত্যক্ষ ভাবে করতে হয় না ।
ব্যক্তি দূরদর্শী, জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাবান হলেই সে দেশ পরিচালনা করতে পারে তাই নারী না পুরুষ সেটা মূখ্য নয়।
তবে নারী নেতৃত্বের বিরোধীতা করে সাধারণত যে হাদিসটি দেখানো হয় “সেই জাতি কখনো সফল হতে পারবে না যারা নেতা হিসেবে একজন নারীকে নির্বাচিত করেছে”।
হাদিসের বর্ণনাকারী কে ?
বুখারি শরিফের এই হাদিসটি আবি বাকরার যার আসল নাম নাফি ইবনে মাসরুহ তিনি ছিলেন রাসূলের আজাদকৃত ক্রীতদাস ।
এই প্রেক্ষাপটে কুরআনে কোন বিষয়ে আয়াত নাজিল হয়েছে কি ?
এই সময়ে কুরআনের সূরা রূমে পারস্যের কাছে রোমানদের জয় ও পরাজয় নিয়ে আয়াত নাজিল হয়।
পারস্য সম্রাট খসরু বন্দী হন এবং পরবর্তীতে নিহত হন ।
এর পরবর্তীতে খসরু সন্তানদের দ্বন্দ্বে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়।
প্রায় বছর খানেকের জন্য খসরু কন্যা শাহজাদী পুরানদখত ক্ষমতায় আসেন ।
এবং পারস্য সাম্রাজ্যে প্রথম কোন নারীর ক্ষমতায়ন ঘটে ।
এই হাদিসটির সনদ ও মতন সত্য বলে ধরে নিলেও এই ঘটনা বিশ্লেষণে বোঝা যায় রাসূল স. নারী নেতৃত্বকে অভিশাপ হিসেবে মন্তব্য করেননি ।
ধ্বংসের পর ধ্বংস হয়ে যাওয়া সাম্রাজ্যের নতুন এই নারীর ক্ষমতায়নে আরো ধ্বংস হবে সেটাই জোর দিয়ে বলেছেন ।
সাক্ষ্য গ্রহণ নিয়ে কুরআন বলে”দুজন পুরুষ পাওয়া না গেলে একজন পুরুষ ও দুজন স্ত্রীলোক সাক্ষী হবে ;
যেন একজন ভুলে গেলে অপরজন তাকে মনে করিয়ে দিতে পারে ।”
এই আয়াতের উদ্দেশ্য নারী পুরুষের মর্যাদা ঘোষণা নয় বরং ব্যবসায়িক লেনদেন যেন প্রতারণা মুক্ত হয় সেটাই স্পষ্ট করা ।
কেবল আর্থিক লেনদেনের বিষয় ছাড়া সব বিষয়ে নারীর সাক্ষ্য পুরুষের সমান ।
ইসলাম নারী পুরুষ উভয়কেই আধ্যাত্মিক এবং আত্মিক দিক দিয়ে সম মর্যাদা দিয়েছেন ।
বাইবেলের বক্তব্য সাধারণত অধিক প্রচার ও ছড়িয়ে পড়ার কারণে কুরআনের ব্যাখ্যা হিসেবে চালানো হয়।
বিবি হাওয়া স্রষ্টার আদেশ অমান্য করার কারণে তাকে প্ররোচনাকারী হিসেবে ধরা হয় ,
এবং তার শাস্তি স্বরূপ তাকে সন্তান জন্মদানের যন্ত্রণা প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে দেওয়া হয় ।
শয়তানের সহকারী হিসেবে নারীকে দোষ দেওয়া হয়।
কিন্তু কুরআনে এই সব গল্প কোথাও নেই ।
নারীকে আদী পাপী কোথাও বলা হয়নি ।
কুরআন বলে “তোমরা সবাই সমজাতের মানুষ “
আবার কখনো বলে”মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী পরস্পরের বন্ধু ও সাথী”।
ইসলাম নারীর মর্যাদা ও বুদ্ধি জ্ঞান কোন দিক দিয়েই ছোট বা তুচ্ছ জ্ঞান করেনি ।
সমমর্যাদায় ভূষিত করে স্পষ্ট ভাষায় বলেছে “মুসলিমুন ওয়া মুসলিমাতুন,মুমিনুন ওয়াল মুমিনাত “।
অতএব কুরআন জীবন বিধান হিসেবে গ্রহণ করে যে-ই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে ,সে – ই সঠিক ।
নারী- পুরুষ মূখ্য বিষয় নয় ।

(৭)
প্রকাশ্যে স্রষ্টাকে অস্বীকারকারী নাস্তিক আর যে ব্যক্তি আস্তিক যিনি সুদ ঘুষ জেনা দুর্নীতি লুটপাট ও হারাম পদ্ধতিতে জীবন যাপন করেন এই দু’জনের মধ্যে পার্থক্য কতটুকু ?
নাস্তিক আনুষ্ঠানিক ইবাদাত বর্জন করে সুদ ঘুষ জেনা দুর্নীতি লুটপাট ও হারাম পদ্ধতি গ্রহণ করে জীবন যাপন করেন ।
অন্যদিকে স্রষ্টায় বিশ্বাসী আস্তিক আনুষ্ঠানিক ইবাদাত ও স্রষ্টার অস্তিত্ব স্বীকার করে সুদ জেনা ঘুষ দুর্নীতি লুটপাট ও হারাম পদ্ধতিতে জীবন যাপন করেন ।
নাস্তিক প্রকাশ্য ভাবে স্রষ্টার অস্তিত্ব অস্বীকার করছেন,
অন্য দিকে আস্তিক স্রষ্টার অস্তিত্ব স্বীকার করে তার আইনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিদ্রোহ এবং হারাম পদ্ধতিতে জীবন যাপন করছেন।
তাহলে এখানে পার্থক্য কি ?
অধিকাংশ সরকারি কর্মকর্তা ঘুষ ও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ।
রাজনীতিবিদ মানেই চাঁদাবাজি লুটপাট ও মানুষের অধিকার নষ্ট করে খাওয়া মানুষ ।
ডাক্তারীর মতো মহান পেশাও আজ কমিশন খাওয়া ও বাণিজ্য পেশায় রূপান্তরিত হয়েছে ।
ওকালতি পেশা তো আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিদ্রোহ ।
উকিল মক্কেলের পকেট থেকে জোর করে টাকা উঠিয়ে নেয় ।
সুদহীন হালাল ব্যবসায়ী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ।
খোদাদ্রোহীর বিপরীতে এই সব ব্যক্তি যারা ধর্ম পালন ও স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে হারাম পদ্ধতি গ্রহণ করে জীবন যাপন করছে।
তাহলে করণীয় কি ?
তবে যে রাষ্ট্র কুফরী ব্যবস্থাপনায় ছেয়ে যায় সেখানে হালাল জীবন যাপন প্রায় অসম্ভব ।
তবে একটা পথ থাকে,
বেশি হারাম পরিত্যাগ করে কম হারাম গ্রহণ করা।
অথবা হালাল ভাবে স্বাধীন জীবন যাপন উদ্দেশ্যে,
কৃষি, শিল্প ,ব্যবসা বাণিজ্য পেশা গ্রহণ করা ।
এবং অনুশোচনা নিয়ে স্রষ্টার সম্মুখে দাঁড়ানো ।
মনের মধ্যে এই হারাম পদ্ধতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রার্থনা ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা ।
সর্বোপরি নাস্তিকের গোপন সহযোগী থেকে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করা ।
কিন্তু অধিকাংশ মানুষ অর্থ বিত্তের মোহে ন্যায়-অন্যায় ,সত্য -মিথ্যা উপলব্ধি করতে পারে না ।

(৮)
ইসলামের আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য কি?
কোন প্রাণ শক্তির অতীন্দ্রিয় প্রেরণায় ব্যক্তির কলবে বিপ্লব ঘটে ?
সমস্ত প্রতিকূলতার মুখে সত্য উচ্চারিত হয় কোন সাহসে ?
হাবসী ক্রীতদাস বেলাল ইসলাম গ্রহণ করলেন ।
এই অপরাধে বেলাল’কে উত্তপ্ত বালি চাপা,
পেট ও বুকে পাথর চাপা,
প্রচন্ড ক্ষুধার্ত অবস্থায় প্রহার করা হয়েছিল কেবল ইসলাম পরিত্যাগে বাধ্য করতে ।
কিন্তু বেলাল কোরাইশদের জুলুম নির্যাতনের মুখে বিপ্লবী ঘোষণা দিয়েছেন “আহাদ” “আহাদ” ।
আবদুল্লার পুত্র মুহাম্মদ ﷺ এর ইসলামে এভাবেই মাজলুমেরা প্রাণ শক্তি খুঁজে পেয়েছেন ।
ব্যক্তি থেকে বিপ্লব ঘটেছে সমাজে ।
সমাজ থেকে বিপ্লব ঘটেছে রাষ্ট্রে ।
সেই বিপ্লবী শক্তি দিয়েই রোম ও পারস্য সাম্রাজ্যের বিজয় ঘটেছে ।
এটা ছিল আধ্যাত্মিক বিজয় ।
ইসলাম সামাজিক, অর্থনৈতিক,
সাংস্কৃতিক ,
রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ব্যবস্থায় এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক বিপ্লব ঘটিয়েছে ।
কিন্তু আজ ?
বস্তুবাদ গ্রাস করে ফেলেছে আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য ।
অবিশ্বাস আর লোভ গ্রাস করেছে অতিন্দ্রীয় প্রাণ শক্তি ।
ইসলাম নামক খাপে ঢুকলেই সে মুসলমান হয়ে যায়।
ইতিহাস জ্ঞান, কুরআন উপলব্ধি, মুহাম্মদ ﷺ এর দেখানো পথে মুসলমান এখন আর প্রাণ শক্তি খোঁজে না ।
তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয় না ।
তাই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে ন্যায় ও ইনসাফ দাতা ।
বেলাল নেই তাই অত্যাচার জুলুমের সম্মুখে “আহাদ” “আহাদ” বলে প্রতিবাদ হয় না ।
প্রাণ শক্তি হীন হৃদয়ে সত্য উপলব্ধিও হয় না ।
কেবল দাসত্ব আর নির্জীব লিঙ্গ ধারণ করে জীবন কেটে যায় ।
কিন্তু আজ মুসলমানদের জেগে উঠতে হবে মুহাম্মদ ﷺ এর জীবনাদর্শ ধারণ করে ।
সত্য উপলব্ধি করতে হবে,
তারপর ভীতির ভবিষ্যৎ মোকাবিলা করতে হবে ।

(৯)
ইসলামের সূচনাতে কেন ইসলাম ও কুরআনের বিরোধীতা করা হয়েছে ?
কেন মুহাম্মদ ﷺ চরিত্রবান ন্যায়বান বিশ্বস্ত ও মানবতাবাদী হওয়া সত্ত্বেও তাকে শত্রু জ্ঞান করা হয়েছে ?
তবে এই সব কিছু ঘটেছে কেবল ইসলাম ও কুরআন সম্পর্কে অজ্ঞতার দরুন ।
মুহাম্মদ ﷺ কোন পদ্ধতিতে ইসলাম সবার হৃদয়ে উপলব্ধি করালেন ?
কিভাবে কুরআনের আয়াত শত্রুর শ্রবণেন্দ্রীয়ে পৌছে দিলেন?
শত্রু কিভাবে বন্ধু হয়ে উঠল ?
কিন্তু আমরা ইসলাম কায়েমের ক্ষেত্রে কি করি ?
তিনজন গুছিয়ে ইসলামের নামে দল গঠন করে দেশীয় রাজনৈতিক দলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হয়ে উঠি।
তারপর ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার আওয়াজ তুলে নিজেদের শ্রেষ্ঠ দল ভেবে জিঘাংসায় মেতে উঠি ।
ভাইয়ে ভাইয়ে লড়াই শুরু করি ।
আর এ সবের কারণেই ইসলামের মূল নীতি ও মুহাম্মদ ﷺ এর উদ্দেশ্য থেকে খারিজ হয়ে যাই।
কিন্তু এভাবে কি ইসলাম ও কুরআন মানুষের হৃদয়ে উপলব্ধি করানো সম্ভব ?
অথবা সম্ভব হয়েছে কি ?
অথবা মুহাম্মদের ﷺ এর উদ্দেশ্য কি এই মনগড়া চিন্তা দিয়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব ?
তাহলে আমাদের করণীয় কি ?
সর্বপ্রথম সাধারণ মানুষের মন ও মস্তিষ্কে ইসলামের বীজ বপন করতে হবে ।
হৃদয় থেকে আগাছা পরিষ্কার করে ইসলামী ভাবাদর্শের বীজ বপন করতে হবে ।
প্রচলিত রাজনীতিতে সময় নষ্ট না করে মানব সেবায় এগিয়ে যেতে হবে ।
আদালত ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবিচল থাকতে হবে ।
ইসলামী আদর্শ গড়ে উঠবে কেবল মুহাম্মদ ﷺ ও কুরআনের ভাবাদর্শে ।
তারপর ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠিত হবে কুরআনের ছায়াতলে ।
তবে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিন্দু মাত্র তাড়াহুড়া করা যাবে না ।
সমাজ থেকে রাষ্ট্র ইসলামী রঙে রাঙিন করার চেষ্টাই অব্যাহত থাকবে ।
এবং ইসলামী বিধি বিধান প্রতিষ্ঠিত করার চিন্তা মাথা থেকে দূর করতে হবে ।
একমাত্র উদ্দেশ্য থাকবে ইসলামী আকীদা প্রচার ।
যে সমাজে খোদা বিরোধী আইন প্রতিষ্ঠিত সেখানে ইসলামের প্রথম যুগ থেকে শিক্ষা নিতে হবে ।
বর্তমান সমাজ যেভাবে ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ তেমনি কুরআন সম্পর্কে অজ্ঞ ।
তাই সর্বপ্রথম মানুষের হৃদয়ে ইসলামের মর্মবাণী উপলব্ধি করাতে হবে।
বিপ্লব যুদ্ধ বিদ্রোহের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে ।
মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্রের দৃষ্টি ভঙ্গি এমন ভাবে পরিবর্তন করতে হবে যাতে সমাজ- রাষ্ট্র ইসলামী বিধানকে রাষ্ট্র ও জীবন বিধান হিসেবে গ্রহণ করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে।

(১০)
খ্রিষ্টান মিশনারির ন্যায় ইসলাম প্রচার করে লাভ কি ?
বছরে একবার মুখে মুখে ওয়াজ মাহফিল করে নারায় তাকবীর দিয়ে লাভ কি ?
পত্রিকা পুস্তক প্রকাশনায় লিখে লিখে ইসলামের মাহাত্ম্য কীর্তন করেই বা কি লাভ ?
ইসলামের সৌন্দর্যকে বাস্তব জীবনের সাথে প্রতিষ্ঠা করতে হবে এটা বলেই বা কি ফায়দা ?
ইসলামী আদর্শের মধ্যেই বাস্তব জীবন সমস্যার সমাধান এই বুলিতে কি ইসলাম বাস্তব জীবনে ঢুকে যাবে ?
নিছক বুলি দিয়ে শয়তানী শক্তিকে পরাজিত করে সত্য ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব না ।
তাহলে করণীয় কি ?
তাহলে কিভাবে কোন পদ্ধতিতে ইসলাম বাস্তব জীবনের সাথে প্রতিষ্ঠিত হবে ?
পুঁজিবাদ,কম্যুনিজম,ফ্যাসিবাদ,হিটলারিজম ও গণতন্ত্রের খোলসে স্বৈরাতান্ত্রিক এই ধরণের নতুন কোন পদ্ধতিতে ?
তবে ফেরাউনি শক্তি, বেইনসাফি, মিথ্যাচার হত্যা ও নৈরাজ্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে যে বিপ্লব দরকার তাতে নতুন কোন পদ্ধতি খোঁজার প্রয়োজন নেই ।
দরকার বিপ্লবাত্মক সংগ্রাম যা কেবল কুরআন ও মুহাম্মদের স. দেখানো পথেই আছে ।
জাহেলিয়াতের অন্ধকার পরাজিত করে মুহাম্মদ ﷺ বিপ্লব সৃষ্টি করেছেন ।
তিনিই দেখিয়েছেন বিপ্লবী পথ ,
সংগ্রামের পথ ,
সাহসিকতার পথ ।
মুহাম্মদ ﷺ এর জীবন -চরিত্র বাতিলের বিরুদ্ধে ঢালের ন্যায় শক্তিশালী ।
রাসূলের জীবন অনুশীলন করেই উন্নতমানের বিপ্লব সৃষ্টি করা সম্ভব ।
নিসন্দেহে কিয়ামত পর্যন্ত মুহাম্মদ ﷺ দেখানো পথ বিপ্লব ঘটাবে ।
তাই এই আদর্শ যত বেশি অনুসরণ, চর্চা ও
যত বেশি বাস্তব জীবনের সাথে অনুশীলন হবে।
বিপ্লবাত্মক ফলাফল ততো বেশি নিকটবর্তী হবে।

লেখক পরিচিতি:
আবদুল কাদের জিলানী
সম্পাদক

Spread the love

2 Comments

  • Muhammad Ab Zeehaan, December 7, 2020 @ 9:08 PM Reply

    জীবন নির্ভর চিন্তার প্রকাশ। ভালো লিখেছেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *