বিপ্লব

আমি বিপ্লব চাই সে সত্য পথে রক্ত দাতার ।
যার দু’চোখ চিরকাল অন্ধকারে ঢাকা ।
বিপ্লব হউক সে অন্ধের সত্য আন্দোলন-মুষ্টিবদ্ধ উদ্ধত বাহু আর ঝলসানো দৃষ্টির ।

আমি বিপ্লব চাই সে নামাজীর ।
অর্থহীন দিল মসজিদে আজান বিহীন যে নামাজ।
হউক বিপ্লব সে অরুণ পথের তরুণ যাত্রী দলের, যার অরুণ পথ নিরুদ্দেশ।

আমি বিপ্লব চাই আজন্ম অত্যাচারিত অত্যাচারিনী চন্দ্রিমার বাজানো বিষধর শঙ্খধ্বনির।
দুঃখিনীর বুক ফাটা চিৎকার, করুণ প্রাণের ব্যর্থ আঁখি জলে তুচ্ছ এ সকল পূজো প্রার্থনা- সন্তুষ্টি ভগবানের ।

বিপ্লব হউক সেই সদিচ্ছার ,
যাতে থাকে না হৃদয়ের তীব্র বাসনা।

আমি বিপ্লব চাই সে দেশের,
যে দেশে নাগরিক বাকরুদ্ধ ।
হউক বিপ্লব শোষণ শাসন আর শোষকের
বুক পেতে আগলে রাখুক নাগরিক
জন্মভূমির প্রতিটি দূর্বাঘাস।

অগ্নিপথ কিংবা শত বাঁধায় এগিয়ে দুর্বার দুর্জয়ে
যৌবন হারিয়ে বার্ধক্যে আনে যে চেতনার যৌবন।
আমি বিপ্লব চাই সে জ্ঞান হীন ত্যাগীর ।

বিপ্লব হউক প্রয়াত মুনি আর ধর্মবেত্তার অসীম সসীম মন্ত্র ফতোয়ার।

আমি বিপ্লব চাই তোমাদের জ্ঞানীর
আমি বিপ্লব চাই তোমাদের বিপ্লবীর
বিপ্লব চাই তোমাদের চেতনা শীলের
বিপ্লব চাই ধর্মের ধার্মিকের।
আমি বিপ্লব চাই জীবন-জগতের।

লাইলাতুল কদর

এক.
তোমার কাছেই তোমায় চাওয়া তোমায় খুঁজে আমায় পাওয়া।

দুই.
তোমায় পোড়াবো বলে যে আগুন জ্বেলেছি,
জীবন ভর সে আগুন পুড়িয়ে গেলো আমায়।

তিন.
মেতে উঠি চিরন্তন প্রেমে।
হৃদয়ে হৃদয়ে প্রেম নিবেদন পৌঁছে যায় ভেদ করে তোমার আরশের সত্তর হাজার পর্দা।

চার.
জীবন সূচনা হতেই পাই তোমার অনন্তকালের ডাক, আর হেঁটে চলি জীবন ক্ষয় করে সেই অনন্তের পথ ধরে।

পাঁচ.
তুমি নীরব থাকো আমি নীরব হই আর মেতে উঠি দু’জন দু’জনার ইবাদতে।

ছয়.
তুমি লাইলাতুল কদরে এসে মেটালে জগতের তিয়াস।
আর আমার আর্তনাদ প্রতি রজনীকে করে তোলে সর্বোত্তম লাইলাতুল কদর।

কালেমা

সুরের টানে সুর আসে
কাতর কন্ঠে;
বাজে জীবন আসরের বন্দনা।
আমি নিভু দীপ-জ্বলে উঠি
তোমার জাগ্রত প্রাণের ছটায়।
এ জীবন রাত; আমার অনন্ত খোয়াব।
তুমি খোদা, আমি হয়ে উঠি জীবন্ত কালেমা।
এবার এ আসরে তুলি বিচ্ছেদের সুর।
তুমি ডাকো তাই, আমি চলে যাই
থেকে গেলো ব্যথিত কালেমা
জীবন আসরের বন্দনায় ।

আল- কিতাব

সমস্ত জগৎ হয়ে উঠে আল কিতাব;
যখন তুমি কিতাবের পাতায় জীবনকে পাঠ করো এবং জীবনের পাতায় কিতাবকে।

ঈশ্বর প্রেম

জিজ্ঞাসিলাম জীবনের পূর্ণ অনুভব কি?
উত্তর আসল প্রেম ঈশ্বর ।

অনন্ত বিচ্ছেদ

কোথায় হলো মিলন ।
কোথায়ই বা রয় তোমার বিরহ বেদনার অনন্ত বিচ্ছেদ।
আমি এসে শূণ্যস্থানে পড়ে রই ।
না মিলন না বিচ্ছেদ ,
তবে কেনো এ প্রণয়ের ডাক !
দুঃখের মগ ডালে সুখের ছড়াছড়ি।
সীমান্তে এসে অনন্তের হাত ধরি।
সখী এ কেমন গোলকধাঁধা;
ভাসিয়ে নেয় জীবন ভর কিনার হীন সমুদ্র !

কবি পরিচিতি:

ইমন সানী
মাইলস্টোন কলেজ, উত্তরা
দ্বিতীয় বর্ষ

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *