মুক্তি
চারপাশে মুক্তির হাহাকার,
অধৈর্য্যের বেদনা
বন্দীদশার শৃঙ্খলে অপেক্ষার ক্রন্দন।
মুক্তি! মুক্তি! মুক্তি !
বসে থেকে কি আর মুক্তি মেলে?
পেটে ভাত নেই
মনভরা যন্ত্রণার ক্রন্দন
অশান্তির আগুনে দাউদাউ করে জ্বলে কষ্ট
আত্মায় বল নেই ,
নেই কোন আত্মবিশ্বাস
মূল্যবান আত্মারে মূল্যহীন করে ফেলি ।
আত্মানিয়ন্ত্রণ করার কথা দেহকে,
অথচ ঠুনকো দেহ আজ চেপে ধরে আছে আত্মাকে।
বর্তমান সভ্যতায় আত্মা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে
পাশ্চাত্য দেহের চাকচিক্য মেখে শোভিত হয় হররোজ।
এভাবেই সভ্যতা নামে জয়ডাক হয় অসভ্যতার ।
অসভ্যতার সভ্যতা মুক্তির অপেক্ষা করে।
নেতানিয়াহু, ম্যাঁক্রো, মোদিরা সেই মুক্তির লাগাম টেনে ধরে নিজেদের সভ্য দিবি করে !
এই হলো সভ্যতার উদাহরণ ।
আর সভ্য জনগণ ধুঁকেধুঁকে মরে !
প্রতিবাদ, প্রতিরোধ না করে সবাই হতাশার সাগরে সাতার কাঁটে ।
চন্দ্র, সূর্যের আলোকে বজ্রপাত মনে করে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে কাঁপে
জাগো জাগো হে সভ্য মানুষজন !
লাভার অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো মুক্তির চেষ্টা করো ।
বিস্ফারিত হও ,
জেগে ওঠো ,
তোমার জাগরণে পুনরুত্থিত হোক পৃথিবী
সভ্যতার দাসত্বে নয় ,
সভ্যতার বিকাশ ঘটুক তোমার ব্যক্তিত্বের আলোয়।
তারপর বিনির্মাণ হোক সভ্যতা ।।
স্রষ্টায় বিশ্বাস
যুক্তি যেখানে সীমাবদ্ধ,
সেখানে খুঁজে পাবেনা তুমি সৃষ্টির রহস্য
চিন্তা যেখানে অসীম;
বিশ্বজাহান নিয়ে ভাবতে বাধ্য তোমার অন্তরীণ
হাতের কলম দিয়ে লিখছি
কিন্তু এখানে উভয়ের আছে স্রষ্টা ।
তুমি,আমি আর সমগ্র বিশ্বজাহান কিভাবে তাহলে মালিকানাহীন ?
অবিশ্বাসীরা যুক্তির ধারে থমকে দাঁড়িয়ে হয় পরাজিত,
বিশ্বাসীরা প্রেমীয় অনুভূতি আর বিশ্বাসে স্রষ্টাকে পেয়ে পুলকিত
দুঃসময়ের শেষ সম্বলরুপে বিশ্বাসীরা স্রষ্টার স্মরণে শান্তি পায়
অশান্তিতে মনোঃকষ্টে ভোগে অবিশ্বাসীরা আত্মহত্যার পথে হাঁটে
চিন্তার শানিত ধারে সক্রেটিসরা সন্ধান করেছে স্রষ্টাকে
প্রদীপ হাতে সূর্য্যের সন্ধানে হেগেলরা ক্লান্তই শুধু হয়েছে
রাজা-প্রজা,ধনী-গরীব সাম্যের ভিত্তিতে একই কাতারে দাঁড়ানো
হেগেলের চিন্তার সন্তান মার্কসের সমাজতন্ত্রের মূল মর্মবাণী
তারপরও বাপ-বেটা খুঁজে পায়নি সৃষ্টিরহস্যের আসল কোন আলো !
কবি পরিচিতি:
কাজী জহির
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়