১
গভীর গোপন তানে
বলে যায় মনে মনে,
না তুই এ জীবনের,
না জীবন তোর তরে !
না তুই এ জাহানের
না জাহান তোর তরে,
না তুই এ জমিনের
না জমিন তোর তরে,
না তুই এ আসমানের
না আসমান তোর তরে।
অবাক হলাম
নিজেই নিজেকে নিয়ে,
ঝড়ের বুকে বেঁধেছি ভাঙা ঘর
স্রোতের বিপরীতে চলেছি দিনভর,
ক্লান্ত বোধে শ্রান্ত হয়েছি
কূলে এসে তরী ভিড়িয়েছি,
তবুও হায়,
নয় কিছুই মোর ।
হেঁয়ালি খেলায়
প্রশ্ন করে যায় নিজে নিজে,
তবে এ জীবনের ভারটুকু কার?
তবে এ সাগরসম সুখটুকু কার?
তবে আকাশসম দুখটুকু কার?
তবে এ পদচিহ্নের পথটুকু কার?
প্রশ্ন গুলো আজ
হলো যেন হতবাক !
উওর এলো গভীর সঙ্গোপনে
ধৈর্য্য ধরে ভাবিস ক্ষণে ক্ষণে,
শূন্যের জ্ঞানে
চিনে নিস নিজেকে ,
পূর্ণ হবে প্রশ্নের শূন্যের স্থানে।।
২
বিরান ভূমিতে অস্থিরতা নিয়ে
পড়ে আছি ধূ ধূ ভূমিতে,
তুমি উড়িছো ঐ আকাশে
অধৈর্য কোন হাহাকারে,
আমি খুঁজিছি তৃষিত পেয়ালা
তুমি খুঁজিছো মাদকতার নেশা,
কি ভাবে হবে
মিলন তবে?
রয়েছি তো মোরা বিজন ভুবনে ।
সাকী এসে
বসলো পাশে
ঢেলে দিলো প্রেমের পেয়ালা ।
পেয়ালা শুধালো
পূর্ণ কেন
শূন্য ছিলো যার নিয়তি?
মাদকতা এসে ভাসিয়ে দিলো
প্রশ্নের সব আকুতি।
নেশার ঘোরে
বললো শুধু
তুই আর আমি তো
একই !
৩
হে তপস্য,
আমি অস্থির পিপাসু
ডাঙ্গায় পড়ে থাকা
এক অর্ধ মৃত্যু মৎস্য,
হে নমস্য,
শত জনমে জপেছি মালা,
জানি তুমি ফিরাবে না মোর
রিক্ত শূন্য থালা
হে অধীশ্বর,
তুলে নেও মোরে
তোমার কৃপায়
মিটিয়ে দাও মোর মনের জ্বালা,,
আমার নেই তো ভূবনে
তোমার চেয়েও অধিক আপন
সঙ্গে ছিলো যারা,
তাদের মুখ পানে চেয়ে
দেখেছি আমি
ঘৃণার অগ্নি ধারা,
বাক্য বাণে
বিদ্ধ করে
আনন্দিত হয়েছে তারা,
তুমি আমায় দেওনি ফিরিয়ে
করোনি সঙ্গ ছাড়া,
তোমাকেই পেয়েছি
হে ভূবনেশ্বর
ভূবনের পথিক হয়ে,
আমাকে দিয়েছো ঠাঁই
তোমার রঙ্গ মঞ্চে তাই
তোমাতেই গান গেয়ে যাই,,
তুমিই নমস্য
তুমিই তপস্য
তুমিই পূজনীয় তাই,
তোমার নামে
জীবনের এ লগ্নে
অন্ধকার ঘরে মোর
প্রদীপ জ্বালিয়ে যাই ।
কবি পরিচিতি :
শামস আরা নওরোজী
মাস্টার্স অফ ফিলোসফি
জন্ম :৩০ শে মার্চ ১৯৭৬
পেশা: গৃহিনী
সৃজনশীল ক্রিয়া: কবিতা