Bengali culture and Islam
আল্লাহ এবং তার প্রেরিত বার্তা বাহক মুহাম্মদ স. এর পরিবর্তে বাঙালি মুসলমানেরা তাদের বাস্তব জীবনে ধর্ম সংস্কৃতি রাজনীতি ও সমাজ নিয়ে যে ধরনের বয়ান দিয়ে থাকেন ,সেই বয়ানের উপর ভিত্তি করেই বাঙালি মুসলমানের ইসলাম সংস্কৃতি ও সভ্যতা দাঁড়িয়ে আছে । বাস্তব জীবনে বাঙালি কি রূপ ইসলাম চর্চা করেন, সেটাই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ । ধর্ম গ্রন্থে কি আছে, কি উচিত, তারচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সে কি চর্চা করছে এবং বাস্তব জীবনে কি ধরণের জীবন যাপনে সে অভ্যস্ত । একজন রোগীর জন্য স্বাস্থ্য বিধি বা নির্দেশনার চেয়ে রোগী অসুস্থতা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবে বা সে সুস্থ হবে সেটাই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ।
তবে ধর্মীয় গ্রন্থের আদেশ নিষেধের বিপরীতে বাঙালি তাদের বাস্তব জীবনে ইসলাম নিয়ে যে বয়ান দিয়ে থাকেন তা কতটা ইসলাম ও ইসলামী সংস্কৃতি নির্ভর সেটা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে । কল্পনা ও স্বপ্নের জগতে ভাসতে থাকা ইসলামী আদর্শের কোন ভিত্তি নাই ।
আমি বাঙালি বলতে বাংলাদেশের বাঙালি মুসলমানের কথা বলছি ।পশ্চিম বাংলার অধিকাংশ বাঙালিই হিন্দু তাই তাদের জীবন যাপন ও সংস্কৃতি তাদের ধর্মীয় কৃষ্টি কালচার মেনেই পালন হবে আর হওয়াটাই স্বাভাবিক । তবে সরাসরি হিন্দুধর্ম ও সংস্কৃতি চর্চা না করে কেন বাংলাদেশের এক শ্রেণীর মানুষ ঠিক একই কায়দায় ভিন্ন নামে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি চর্চা করছে সেটা ভাববার সময় এসেছে । বাঙালি সংস্কৃতির নামে কখনো পশ্চিমা কালচার কখনো হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি চর্চা করে বাঙালি ও বাংলা ভাষার প্রবীণত্ব(বুড়ো) প্রমাণের চেষ্টা প্রচেষ্টা আজও অব্যাহত রয়েছে । পশ্চিম বাংলার বাঙালিরা দাবি করেন বাঙালি সংস্কৃতি মানেই তাদের পালন করা ধর্ম ও সংস্কৃতি অন্য দিকে বাংলাদেশের একদল হিন্দু সংস্কৃতি ঘেঁষা বাঙালি তারা এই দাবি সশ্রদ্ধ চিত্তে কবুল করেছেন । এই দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাঙালি মুসলমানকে বাঙালি হিন্দু সত্ত্বা ধারণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তারপর তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছেন আগে বাঙালি তারপর মুসলমান । তবে এই দাবির বিষয়টি আমি একটু অন্য ভাবে ভেবে দেখার চেষ্টা করেছি । একজন হিন্দু খ্রিস্টান ইহুদি অথবা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী যখন ইসলাম কবুল করে মুসলমান হয়ে যান তখন পূর্বের মূর্তিপূজা শিরক তিন ঈশ্বরে বিশ্বাস এই বিষয় গুলো বাস্তব জীবনে বর্জন করেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন । ইসলাম মানেই নতুন জীবন । অন্যায় জুলুম ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া । শিরক মূর্তিপূজা জিনা অপসংস্কৃতি ও বিজাতীয় কালচার বাস্তব জীবন থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় দিয়ে সে এক আল্লাহর আনুগত্য মেনে নেবেন । তাই একই সাথে পশ্চিম বাংলার কথিত বাঙালি সংস্কৃতি লালন ও পালনের পাশাপাশি মুসলিম সংস্কৃতি গ্রহণ করার বিষয়টি ইসলাম গ্রহণ করে না। তাই বাঙালি মুসলমানের খোলস যদি হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি দিয়ে মোড়ানো থাকে তাহলে সেই খোলস ছেড়ে তাকে সর্বপ্রথম ইসলাম কবুল করতে হবে । তাকে বিজাতীয় কালচার ও অপসংস্কৃতি থেকে মুক্ত হয়ে নব মুসলিম হতে হবে ।
এবার দেখব বাঙালিরা কিভাবে জন্মদিন পালন করে। আগে তেমন ঘটা করে জন্মদিন পালিত হতো না । পরিবারের সদস্যরা শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন । ঘরে পোলাও গোস্তের ছালুন ও মিষ্টি জাতীয় কিছু রান্না হতো । এই এতটুকু পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল । কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে এই আনুষ্ঠানিকতা এখন আর পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই । এখন পশ্চিমা ধাঁচে কেক পার্টি ও মদের আসর করে জন্মদিন পালন করা হয় । সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতি ও অসামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জন্মদিনে যে উদ্যমতা দেখানো হচ্ছে সেটা সমাজে বড় ধরণের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে । একদল সংস্কৃতি চর্চার নামে বিজাতীয় কালচার নিজেদের সমাজ জীবনে বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে । ঠিক এভাবেই পশ্চিমাদের তৈরি করা মা দিবস, বাবা দিবস ও বন্ধু দিবসের মতো নানা ধরনের দিবস উদযাপনে মেতে উঠেছে বাঙালি । লক্ষ্যের দিকে দৃষ্টি না দিয়ে গৌন বিষয় গুলো গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। একজন মুসলিম হিসেবে তার চিন্তা ভাবনা যেভাবে কাজ করার কথা সেভাবে না করে সে হয়ে উঠেছে বিজাতীয় সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক। বিজাতীয় সাংস্কৃতিক ষড়যন্ত্র ধুলিস্যাৎ করে ইসলামী সংস্কৃতি ও সভ্যতা বিনির্মাণের পরিবর্তে সে হয়ে উঠছে পশ্চিমা গোলাম । আমি এটাকে মানসিক দাসত্ব বলব । বাঙালি পশ্চিমা খোদাদের দুই শত বছরের শারীরিক গোলামী থেকে বেরিয়ে এখন মানসিক দাসত্বের পথে হেঁটে চলেছে । অজ্ঞ গোঁড়া ও গবাদি পশুর ন্যায় অন্যের দেখানো পথে মতে ও হুকুমে চলতে থাকলে বাঙালি নিজেদের সংস্কৃতি ও সভ্যতা হারিয়ে ফেলবে । তাই নিজস্ব চিন্তা সংস্কৃতি ও দৃষ্টিভঙ্গিতে এখনই ঘুরে দাঁড়াতে হবে ।
সন্তান জন্মের পর প্রথম যে বিষয়টি আসে তা হলো তার খৎনা সম্পন্ন করা । জন্মের কিছু দিন পর পিতা -মাতা ছেলে সন্তানের খৎনার মাধ্যমে ঢাক ঢোল পিটিয়ে উৎসব করে থাকেন । পরবর্তীতে এই খৎনা কৃত মুসলমানেরাই ইসলাম থেকে বিচ্যুত হয়ে শিরক, মূর্তি পূজা ও মুশরিকের জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে । কিন্তু সমাজে প্রচলিত আছে মুসলমান পিতার ঔরসে জন্ম লাভ এবং পরবর্তীতে সাবালক হওয়ার পূর্বে খৎনা করলেই সে একজন খাটি মুসলমান । বাঙালি মুসলমান নিজেকে যে মুসলমান দাবি করবে এই খৎনাই তার প্রমাণ । সমাজে প্রচলিত এই খৎনা “মুসলমানি” নামেই প্রচলিত । অর্থাৎ লিঙ্গের অতিরিক্ত চামড়া ছেদন করলেই সে নিজেকে মুসলিম হিসেবে দাবি করতে পারেন ।এখানে তার ধর্মীয় বিধি নিষেধ পালন করা বা না করাতে কিছুই যায় আসে না ।আবার ধনাঢ্য বাঙালি পরিবারে সন্তান খৎনা করার পর আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত করা হয় । একদিকে এই আত্মীয় স্বজনেরা উপঢৌকন নিয়ে আসে অন্যদিকে খৎনা পক্ষ বিরিয়ানি ও পোলাও দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করে ছোট খাটো একটা বাঙালি কালচার স্টাব্লিস করে ফেলেছে । তবে এই অনুষ্ঠান দোষের কিছু না কিন্তু যখন খৎনা পালনকারীরা নিজেদের “আশরাফ” প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে এটাকে শরিয়তের অবশ্য পালনীয় হিসেবে গ্রহণ করে ঠিক তখনই এটার প্রভাব সমাজে খেটে খাওয়া মানুষের উপর পড়ে । তাদের পক্ষে এই খৎনার অনুষ্ঠান করে লোক খাওয়ানো সম্ভব হয়ে ওঠে না । ঠিক এভাবেই সমাজে বিভাজন শুরু হয় । ইসলাম এমন কোন সংস্কৃতি চর্চার অনুমতি দেয় না যে সংস্কৃতি উঁচু -নিচু, বড় -ছোট বিভাজনে সমাজ ও মানুষকে বিভক্তির দিকে নিয়ে যায় ।
মৃত্যুর পর ঘটা করে দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মৃত ব্যক্তির আত্মা ও রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। কখনো তিন দিন কখনো দুই দিন অতিবাহিত হওয়ার পর পরিবারের জীবিত সদস্যরা মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে গরু- খাসি জবেহ করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের ভূরিভোজ করায় । এখানে উদ্দেশ্য থাকে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন । সন্তান ও পরিবারের অন্য সদস্যদের দোয়া ও কর্ম মৃত ব্যক্তির কল্যাণে আসবে । কিন্তু উৎসব ও বিয়ের অনুষ্ঠানের মতো আয়োজন করে ধনীদের গোস্ত পোলাও খাওয়ানোর চেয়ে গরীব অনাথ যারা মাসে একবেলা গোস্ত ভাত খেতে পারে না তাদের আপ্যায়ন করে দোয়া ও মোনাজাত সম্পন্ন করা যেতে পারে ।
ধর্মভীরু বাঙালি
বাঙালি ধর্মভীরু, ধর্মপরায়ণ এই কথা গুলো সমাজে খুবই প্রচলিত । যে চুরি করে সেও নামাজি আবার যে ভুক্তভোগী সেও নামাজি । তাই এই ভীত সন্ত্রস্ত বাঙালি মুসলমান তার বাস্তব জীবনে ধর্ম ও সংস্কৃতি পালনের পাশাপাশি চুরি বদমাইশি দুর্নীতি লুটপাট জুলুমবাজি হত্যা খুবই নিষ্ঠার সাথে পালন করে থাকে ।এতে তাদের কোন সমস্যা নেই । মসজিদ মাদ্রাসা মকতবে যেমন তাদের যাতায়াত রয়েছে তেমনি পতিতালয় ও মদের আসরে তাদের আসা যাওয়া রয়েছে । তাদের বোঝানো হয় ইসলাম মানে কালেমা নামাজ রোজা পালন করে গোটা জীবন কাটিয়ে দেওয়া । কিন্তু প্রশ্ন আসে না কেন এই ইবাদাত করব ? এই ইবাদাতের লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি ? ব্যক্তি যখন ইবাদাতের মাধ্যমে তার ভেতরটা পরিশুদ্ধ করবে তখন তার কর্তব্য হবে সমাজ ব্যবস্থা থেকে দুর্নীতি লুটপাট ও জুলুমবাজি দূর করে সুস্থ সমাজ প্রতিষ্ঠা করা । ব্যক্তির চরিত্র যেমন হবে সমাজ চরিত্র ঠিক তেমনই হবে তারপর রাষ্ট্র সেই সমাজের প্রতিনিধিত্ব করবে । তাহলে ইসলামে ধর্ম ও ইবাদাত পরিহার করে সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের কথা ভাবাই যায় না। আর রাসূলের “আদর্শিক রাষ্ট্র”(Ideological State) ব্যবস্থা ঠিক এভাবেই প্রথমে ব্যক্তি তারপর সমাজ এবং সব শেষে রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে শিরক মূর্তিপূজা দুর্নীতি লুটপাট জুলুমবাজি ও হত্যা ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছিল ।
বাঙালি সাধারণত অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হলেই বিয়ের কথা ভাবে । এটা খুবই ভাল কথা । স্ত্রীর ভরণপোষণের ব্যবস্থা না করে বিয়ের পথে হাঁটে না তারা । কনে ও বরের উপস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় । হিন্দি গানের সাথে উদ্ভট বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহারে বাঙালি বিবাহে আনন্দ ফূর্তি করে ।কনের হলুদ অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে বাসর ঘর পর্যন্ত এই হিন্দি সিনেমার গান বাজতে থাকে । কনের হলুদের সময় হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি হলির ন্যায় রঙ মাখামাখি করে আনন্দ করে । কনের বাড়িতে বর পক্ষের ভূরিভোজের আয়োজন করা হয় । আর বর পক্ষ মাইক বাজিয়ে যারা কনের বাড়িতে খেতে আসবেন তাদের থেকে চাঁদা (নেসার) উঠিয়ে কনের বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা করেন । এভাবে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই টাকা তোলার কাজ চলতে থাকে তারপর শতাধিক লোকজন নিয়ে কনের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করেন।
বিয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় সেটা হলো দেনমোহর । কিন্তু এই বিষয় সামনে এলেই বাঙালি তখন চুপ হয়ে যায় । কনের পাওনা দেনমোহরের অর্থ শরিয়ত মোতাবেক সর্বোনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে । প্রথমে দেনমোহর ধার্য করা হয় তারপর যে অলঙ্কার দেওয়া হয় সেটা অর্ধেক ধরে নগদ এবং বাদবাকি বাকি হিসেবে ধরে নেওয়া হয় । ধর্ম গ্রন্থে এমনও সতর্ক বাণী রয়েছে যে দেনমোহর পরিশোধের পূর্বে তোমার স্ত্রী তোমার জন্য হালাল নয় । ধরলাম অলঙ্কার দিয়ে অর্ধেক পরিশোধিত কিন্তু বাকী অংশ কি স্ত্রীর জীবদ্দশায় পরিশোধ করা হয় ? শতকরা নিরানব্বই জন মানুষ বলবেন হয় না । বাঙালি মুসলমানের মনে এই দেনমোহর নিয়ে যা ঘোরে সে হলো আমার স্ত্রী তার ভরণপোষণ দিচ্ছি আমি তাহলে দেনমোহর নিয়ে এতো কথার কি আছে ।
তারপর বর বউ নিয়ে বাড়ি ফিরে বউ ভাতের আয়োজন করে । সেখানেও চাঁদাবাজি । এই অদ্ভুত বিয়ের (দেওয়ানি চুক্তি) রীতি চালু হয়েছে । দশ থেকে বিশ লক্ষ টাকা দেনমোহর হিসেবে ধার্য করে পঞ্চাশ হাজার টাকার গহনা দিয়ে দেনমোহরের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয় ।।
পহেলা বৈশাখ বাঙালির বছরের প্রথম দিন:
পান্তা ভাতের সাথে ইলিশ মাছ আর রমনার বটমূলে গানের উৎসব করে দিনটি উদযাপন করা হয় ।তারপর চারুকলা থেকে গনেশ হনুমান প্যাঁচা ও নানা ধরনের দেব দেবীদের মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা বের করা হয় । মানুষের মোঙ্গল ও কল্যাণ উদ্দেশ্যে এই শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় । এই তৈরি কৃত মূর্তির সামনে ঝুঁকে বছরের প্রথম দিন কল্যাণ প্রার্থনা করা হয় । রামায়ণ ও মহাভারতের দেব দেবী হয়ে ওঠে বাঙালি মুসলমানের খোদা ।তারপর একই বছরে ইংরেজি নববর্ষ পালন করা হয় ।
বাঙালি মুসলমান ইংরেজি নববর্ষের শেষ দিন (থার্টি ফাস্ট নাইট) উদযাপন করে থাকে ।যেহেতু ইংরেজি নববর্ষ তাই পশ্চিমা স্টাইলে মদ আর নারী দিয়ে বছরের শেষ রাতে এই উদ্ভট ফূর্তি করা হয়। শহরের মদের আসর গুলোতে ইংরেজি ও হিন্দি গানের ডিজে বাজিয়ে বাঙালির লিঙ্গ ও চেতনা উজ্জীবিত করা হয় । একটা প্রজন্ম এই অপসংস্কৃতি ও অসামাজিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে । বছরের পর বছর ঠিক এভাবেই কখনো পশ্চিমা আধুনিকতা কখনো হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি চর্চা করে বাঙালি দিব্বি কাটিয়ে দিচ্ছে । এর থেকে মুক্তির উপায় কি ? বিজাতীয় সংস্কৃতি ও দৃষ্টিভঙ্গির দাপটের মুখে বাঙালি মুসলমান কিভাবে কেমন করে মোকাবিলা করবে সেটাই দেখার বিষয় ।ঠিক এভাবেই বাঙালি মুসলমান তার বাস্তব জীবনে ধর্ম সংস্কৃতি ও সভ্যতার নগ্ন খেলায় মেতে আছে । লক্ষ্য উদ্দেশ্যহীন এই যাত্রায় সে কতটুকু লাভবান হবে সে কথা “সময়” কড়ায় গণ্ডায় মিটিয়ে দেবে ।।
লেখক পরিচিতি:
আবদুল কাদের জিলানী
সম্পাদক